সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি : ফারিয়ার সাবেক স্বামী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১২৯ সময় দর্শন
শবনম ফারিয়া ও তার সাবেক স্বামী হারুন অর রশীদ অপু।

শবনম ফারিয়া ও তার সাবেক স্বামী হারুন অর রশীদ অপু। ছবি ফেসবুক।
আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি : ফারিয়ার সাবেক স্বামী

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। অভিনয় দক্ষতা আর সৌন্দর্যে মন জয় করেছেন লাখো দর্শকের। এই অভিনেত্রী মাঝে মধ্যেই থাকেন আলোচনার শীর্ষে। তবে সবচেয়ে আলোচনার জন্ম দেয় তার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে। বিয়ের প্রায় ২ বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে। এদিকে বিচ্ছেদের এক বছর পর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

 

ফারিয়ার এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন তার সাবেক স্বামী হারুন অর রশীদ অপু। তিনি বললেন, যে অভিযোগ ফারিয়া করেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা। ফারিয়ার সাবেক স্বামী আরও বলেছেন, আল্লাহ সবাইকে বিভিন্ন রকম বিপদ, কষ্ট, প্যারা, কেইস, অশান্তি এবং অসংলগ্ন কথা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন।’

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজেদের পুরনো সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন হারুন অর রশীদ অপু। তার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

 

প্রেম, বিয়ে কিংবা একটা সম্পর্ক- এর মাঝে হাজারটা চড়াই-উৎরাই থাকে। আবেগ, রাগ, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ মিলিয়েই একেকটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার বিয়ের সম্পর্কটি টেকেনি, এটা নিয়ে আমার বিপরীতের মানুষ অনেক বয়ান, স্ট্যাটাস, মতবাদ দিলেও এতদিন পর্যন্ত আমি কিছুই বলিনি, হয়তো আর বলবোও না। ভেবেছি বোবার শত্রু নাই! কিন্তু যা দেখছি অনেকদিন ধরেই, চুপ থেকে সম্মান দিয়ে যাওয়াই আজকাল অনেকে সুযোগ নিয়ে নেয়।

চাওয়া পাওয়ার হিসাব অনেক সময়ই মেলে না, তাই সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ারও একান্ত অনেক কারণ থাকে। কিছু কারন একান্তই নিজস্ব, কিছু কারন সামাজিক, আর্থিক বা বাইরের। মেজাজ গরম, ভালোমন্দ, উগ্রতা একটা সম্পর্কে দুজনের মধ্যেই থাকে। কষ্টের মুহূর্তও দুইদিকেই থাকে। খারাপ সময়ে কেউ একলা আসমানে তাকায় থাকে না, দুজনই তাকায়। ব্যথা একদিকে হয় না, আলাদা হলে দুদিকেই ব্যথা থাকে। তবু সবসময়ই চেয়েছি যে বিপরীতের মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সবার কাছে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থাপন করতে।

 

অভিযোগের অনেক কথা থাকলেও আমার ক্ষেত্রে এক কথায় বললে- বনিবনা হয়নি অথবা সময়ের টানে নিজেদের নিজেরা হারিয়ে ফেলেছিলাম- এগুলো বলেই সবাইকে উত্তর দিয়ে আসছিলাম এতদিন।

অভিযোগ দুইদিকেই থাকে, কেউই সন্নাসী লেভেলে থাকি না আমরা। দিনের পর দিন কারো আসমান সমান অভিযোগ থাকলে, আরেকদিকে পাহাড় সমান থাকারই কথা। অভিযোগের পুঁজি করে নিজেকে সাধু সাজিয়ে ভিকটিম হিসেবে প্রকাশ করা অনেকের অভ্যাস হতে পারে- তবে এই পথে এখনো যেতে পারিনি।

শ্রদ্ধাশীলতা- খুব বড় একটা পয়েন্ট আজকাল। একেকজনের পার্সপেক্টিভ থেকে যার যার কষ্ট বা দুঃখের আলাদা আলাদা ভার্সন থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই। কেনো ঘর ভাংলো? কেনো আলাদা হলেন? এই প্রশ্নগুলো একান্তই নিজস্ব। উত্তর জেনে আপনাদের চটকদার নিউজ ছাড়া কিংবা কমেন্টে লাভ/এংরি রিয়েকশনের বাইরে কেউই আসবে না। এই পার্সপেক্টিভ আলাদা হয়ে গিয়েছে দেখেই হয়তো আমরা একভাবে আর চিন্তা করতে পারছিলাম না। তাই হয়তো আলাদা হওয়া।

 

তবু ভাঙা আঙ্গুলের গল্পটা রয়েই যায়, তাই তো? বরং ঘটনাটা শুরু কিভাবে, হলো কিভাবে, ভাঙলো কিভাবে- এটা হয়তো জানার দরকার বিপরীত পাশ থেকেই। না হয় একদিক দোষী মনেই হয়! রাগের মাথায় উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার গল্প বলতে গেলে হয়তো প্রতিটি কাপলেরই লিঙ্গ নির্বিশেষে আজ ‘মী-টু’ স্ট্যাটাস দিতে হবে!

বলছিলাম শ্রদ্ধার কথা। পাশে থেকেও শ্রদ্ধা রাখা যায়, দূরে থেকেও। নিজেকে ভিকটিম এর মতো উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিমূলক মতবাদ- আসলেই দুঃখজনক। যখন একটা মানুষকে জনসাধারণ অনুসরণ করে- তার দিক থেকে একটাই কথা মাথায় রাখা উচিত, With great power comes great responsibility. কেউ যদি সহজেই হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, তারও উচিত সাবলীল এবং সৃষ্টিশীল গঠনমূলক কথায় নিজের ইমেজকে বিকাশ করা। ইনফ্লুয়েন্সার আসলে যে কী- এটা হয়তো অনেকেই বুঝতে চান না!

 

যাই হোক, গুজবের মত এক শ্রেণীর মানুষ উহাই অনুসরণ করে যাবেন আর ইনবক্সে গালি দিয়ে যাবেন। কিন্তু যাচ্ছেতাই কমেন্ট/স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেও রসিকতার পাত্র হয়ে লাভ নেই, আর অন্যকেও হাসির মাঝে ফেলে লাভ নাই। তবুও নিজেকে প্রায়ই এটা বলেই সান্ত্বনা দিই যে- হয়তো বিপরীতের মানুষটি অশান্তিতে আছে দেখেই এমন মনোভাব পোষণ করছে। নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে নিজেই অশান্তিতে থাকলে তখন অনেকেই চেষ্টা করেন বাকি মানুষটাকেও ছোট প্রমাণ করতে। প্রায় সময়ই আমরা অশান্তিতে থাকলে নিজেদের বেসামাল করে কথা বলেই ফেলি। অন্য কেউ ভালো থাকলে আবার টেনে নামানোর চেষ্টাও হয়তো করেন কেউ।

 

আল্লাহর অশেষ রহমত! আলহামদুলিল্লাহ অনেক শান্তিতে আছি, আল্লাহ এখন পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং ভালো রেখেছেন, এখন শান্তির ঘুমও হয় রাতে!

আল্লাহ সবাইকে বিভিন্ন রকম বিপদ, কষ্ট, প্যারা, কেইস, অশান্তি এবং অসংলগ্ন কথা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ফারিয়া ও অপুর বিচ্ছেদ হয়। বনিবনা না হওয়ায় দুজনে মিলে তারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

 

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71